অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল তরুণ কৃষক

সাধারণত গ্রীষ্মকালে তরমুজ চাষ হলেও, পটুয়াখালীর বাউফলের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. লোকমান হোসেন বর্ষা মৌসুমে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে দারুণ সফলতা পেয়েছেন। এতে কম খরচে ভালো ফলন ও বাজারমূল্য বেশি পাওয়ায় তিনি খুবই খুশি। তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন আট বছর আগে কাজের খোঁজে বিদেশে যান। তিন বছর পর দেশে ফিরে তিনি তার বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ শুরু করেন। এই বছর পরীক্ষামূলকভাবে তিনি মাত্র পাঁচ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের তরমুজ ও ফুটির আবাদ করেন। প্রথমবারেই তিনি সফল হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তার জমিতে সারিবদ্ধভাবে তরমুজ গাছ লাগানো আছে। গাছের লতাপাতায় ছেয়ে থাকা ঝোপের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে রসালো তরমুজ। পাশেই ফুটি গাছগুলোতেও ভালো ফলন হয়েছে।
তরুণ কৃষক লোকমান জানান, বিদেশে অনেক পরিশ্রম করেও তেমন লাভ হচ্ছিল না। তার চেয়ে কম পরিশ্রমে কৃষিকাজ করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়। এবার বর্ষা মৌসুমে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় কীটনাশকের খরচও কম হয়েছে। তিনি জানান, তার মোট খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা, আর ফলন হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকার।
তরুণ কৃষক লোকমানের বাবা সালাম গাজী বলেন, ‘আমার ছেলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করার পরিকল্পনা করছে।’
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মিলন বলেন, ‘অসময়ে তরমুজ চাষ খুবই লাভজনক, কারণ এই সময়ে বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক থাকে। রোগবালাই কম হওয়ায় খরচ কম হয় এবং লাভ বেশি হয়। তিনি আরও জানান, কৃষি বিভাগ থেকে লোকমানকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।’