শব্দ-পলিথিন দূষণ রোধে ৩৭৯৭ মামলা, জরিমানা ২৬ কোটি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২ জানুয়ারি থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট এক হাজার ৫৪০টি মোবাইল কোর্ট চালিয়েছে। এসব অভিযানে তিন হাজার ৭৯৭টি মামলার মাধ্যমে ২৬ কোটি ৩৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর।
দীপংকর বর জানান, এ সময়ে ৪৮৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, ২১৬টি ভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়, ১৩৩টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয় ও ২৫টি পলিথিন কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়।
দীপংকর বর আরও জানান, পাশাপাশি ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ-সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় ও ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়।
অপরদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করায় ফেনী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ৯টি মামলার মাধ্যমে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ৩১৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে বাজার ও সুপারশপে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
এছাড়া একই দিনে যানবাহন কর্তৃক মান মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন রোধে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মতিঝিল-গুলিস্তান সড়কে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে নড়াইল, বান্দরবান, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামে পরিচালিত পাঁটি মোবাইল কোর্টে ১৯টি মামলায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ৩৪টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় দূষণবিরোধী এ ধরনের অভিযান সারা দেশে অব্যাহত থাকবে।