জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার কার্যক্রম গতিশীল করতে কমিটি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সারা দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে হত্যাসহ সংঘটিত অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে অভিযোগপত্র দাখিল করা মামলাগুলো (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন) এই কমিটির আওতায় থাকবে না।
সাত সদস্যের এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—১. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয়), ২. বাংলাদেশ পুলিশের একজন প্রতিনিধি (ডিআইজি পদমর্যাদা), ৩. জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মনোনীত শহীদ পরিবারের একজন সদস্য, ৪. আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন মানবাধিকার কর্মী, ৫. জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মনোনীত একজন আইনজীবী এবং ৬. আইন ও বিচার বিভাগের জিপি-পিপি অধিশাখার উপসলিসিটর (কমিটির সদস্য-সচিব)।
কমিটির কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে—ক. কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)। খ. এরূপ মামলার মধ্যে যেসব মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং উক্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট পাঠাবে। গ. কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি ভুক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করবে এবং ঘ. মামলার ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারকে দেবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হত্যার মামলার বিচার সুষ্ঠুভাবে চলমান রয়েছে। সরকার আশা করছে, নবগঠিত কমিটির কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রচলিত ফৌজদারি আদালতগুলোও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল হবে।