সাইবার স্পেসকে নিরাপদ করতে তরুণদের সহযোগিতা দরকার : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, সাইবার স্পেসকে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে তরুণদের সহযোগিতা দরকার।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ক্যাপিটাল স্কুল আন্ড কলেজের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সত্যের মুখে দাঁড়িয়ে লড়তে পারে। দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত উচ্ছৃঙ্খলতা নিরসনে মাঠে নেমে পড়ল এ দেশের ছেলে-মেয়েরা, শুরু হতে লাগল পরিবর্তনের হাওয়া। আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত—কেন আমরা বড়রা এই উচ্ছৃঙ্খলতা নিরসন করতে পারিনি। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারা তা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে ৭০ শতাংশ মেয়ে অংশ নিয়েছে, তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে।’
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচনের পথে যদি অতিরিক্ত সহিংসতা হয় তাহলে নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে যাবে। সেটা যেন না হয়, সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে জনগণকেও সরকারের পাশে এগিয়ে আসতে হবে।’
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে আমরা দায়িত্ব অর্পণ করে যাব। যাতে তারা সুনামের সঙ্গে মাথা উঁচু করে এ দেশের মর্যাদা রক্ষা করে কাজ করতে পারে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছরের অনিয়ম, দুর্নীতি এক বছরেই নির্মূল করা যাবে না। নতুন বাংলাদেশে শিশু ও নারীদের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অভিভাবকদের পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের শিশুদেরকে যদি আমরা সঠিক পথে গড়ে তুলতে না পারি তাহলে আমরা বিশ্বের কাছে হেরে যাব।’
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাইমা ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান, সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান, সোনারগাঁ ক্যাপিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি আক্তার হোসেন ও পরিচালক খায়রুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ১৯৯ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।