জনগণের কাছে ক্ষমা চান : জামায়াতকে জয়নুল আবদিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে অতীত ইতিহাসের জন্য দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে আসেন। একদিকে বলেন পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না, অন্যদিকে বলেন—গণভোট না হলে নির্বাচনে যাব না।’
আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়, শেখ মুজিবের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দিল্লির প্ররোচনায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে, এই ইউনূস সরকারের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেন, তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে।’
জয়নুল আনদিন আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি।’
জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।’
বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এদেশের জনগণ জানে—শহীদ জিয়ার দল যতবারই ক্ষমতায় গিয়েছে, জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। তারেক রহমানের যে আত্মত্যাগ, ইন্টেরিম গভমেন্ট যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, তাহলে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
আলোচনা সভায় তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।