হত্যাচেষ্টা মামলায় পলক, রাষ্ট্রদ্রোহে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

রাজধানীর কাফরুলে আব্দুল আলিম হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং শেরে বাংলা থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এই আদেশ দেন।
পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই মো. শাহ আলম এবং জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান।
আলিম হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই কাফরুলের আরমান মেইনারের গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল হালিম। তার চোখে গুলি লাগে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত ১ এপ্রিল তিনি মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার নথি থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। এরপর মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের ধারা যোগ করা হয়।
আরও জানা গেছে, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা এবং জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।