বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে উঠে এসেছে মাদ্রিদ, ঢাকার আরও অবনতি

তিন দিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ থাকলেও প্রতি দিনই বেড়ে চলেছে দূষণের পরিমাণ, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে গত কয়েকদিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খবর হলো, ইউরোপের শহর মাদ্রিদের বাতাসে হঠাৎ করে দূষণ বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় মাদ্রিদের বাতাসের এইকিউআই সূচক ছিল ১১১, আইকিউএয়ারের শ্রেণিমান অনুযায়ী যা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে স্পেনের রাজধানী।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ইউরোপীয় দেশগুলোর বাতাস বছরের অধিকাংশ সময়ই পরিচ্ছন্ন থাকে। প্রায় সবসময় স্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নেওয়া ইউরোপীয়দের জন্য মাদ্রিদের আজকের বায়ুদূষণ তাই বড় খবরই বটে।
আইকিউ এয়ার এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাহারা মরুভূমির ধুলার কারণে ওই অঞ্চলের বায়ুমান প্রভাবিত হচ্ছে। তাছাড়া স্পেনের উত্তর-পশ্চিম এবং পর্তুগালের উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সেসব আগুন থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া ওই অঞ্চলসহ মধ্য স্পেনের বাতাসের মানে প্রভাব ফেলেছে। অনেক শহরের বায়ুমান ‘অস্বাস্থ্যকর’ এমনকি ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে নেমে গেছে।
তবে আজ সকালে সবচেয়ে বেশি খারাপ কঙ্গোর কিনশাসার বাতাস। ১৬৭ একিউআই স্কোর থাকা কিনশাসার বাসিন্দারা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন। ১৫৩, ১৩৯, ১২২ ও ১১২ স্কোর নিয়ে তার পরের চারটি স্থানে ছিল যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা, ভারতের দিল্লি ও উগান্ডার কাম্পালা।
অন্যদিকে, ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ থাকলেও প্রতি দিনই একটু একটু করে দূষণ বাড়ছে। রোববার সকালে রাজধানী ঢাকার বাতাসে দূষণ-মান ছিল ৫০, গতকাল সোমবার তা বেড়ে হয় ৬৬, আর আজ তা আরও একটু বেড়ে ৭৫-এ উন্নীত হয়েছে। এই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে ১৯তম স্থান দখল করেছে ঢাকা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।