বিপৎসীমার ওপরে আত্রাই নদীর পানি, ৩০ পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে নওগাঁর সব নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আত্রাই নদীর পানি। এতে নদীর দুই তীরে অবস্থিত বেঁড়িবাধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া ছোট যমুনা নদীর পানি নওগাঁ শহরের লিটন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আত্রাই নদীর শিমুলতলী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার, মহাদেবপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার, আত্রাইয়ে রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পূর্ণভবা নদীর নীতপুর পোরশা পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে পবিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়য় উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, আত্রাই নদের পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আমরা আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জরুরি সভা করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন বালুর বস্তা, বাঁশ ও অন্যান্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় শুকনো খাবার মজুত ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান বলেন, সপ্তাহখানেক ধরেই নদীর পানি বাড়ছে। সম্ভাব্য বন্যার বিষয় মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।