নতুন দলকে কেউ জায়গা দিতে চায় না : নাহিদ
নতুন দলকে কেউ জায়গা দিতে চায় না। গত ৫৪ বছর ধরে যারা রাজনীতি করছে তারা নিজেরাই শুধু রাজনীতি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা স্লোগানে খাগড়াছড়িতে এনসিপির পদযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নাহিদ ইসলাম এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকালে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় নেতারা খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছান।
মানিকছড়ির নয়াবাজার থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করে নিয়ে মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে খাগড়াছড়ি নিয়ে আসা হয়। শহরের শান্তিনগর মোড় থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে নারিকেলবাগান,খাগড়াছড়ি বাজার হয়ে শহরের শাপলা চত্বর মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। পযাত্রায় পাহাড়ি বাঙালি ছাত্র জনতাসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমাসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সমাবেশে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসুদসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে চাই উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা নাগরিক পরিচয়ের ভিত্তিতে দেশটাকে গড়তে চাই। জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার সমান। সেই অধিকারের জন্য গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে।
নাহিদ আরও বলেন, নতুন দলকে কেউ জায়গা দিতে চায় না। গত ৫৪ বছর ধরে যারা রাজনীতি করছে তারা নিজেরাই শুধু রাজনীতি করতে চায়।
এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম পাহাড়কে নতুনভাবে গড়তে, পাহাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন পাহাড়ে অনেক জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে। এ সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অনেক ধরনের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে সব জাতিগোষ্ঠীই বঞ্চিত। ফলে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই, সম্প্রীতির বিকল্প নেই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, জাতীয় নিরাপত্তা সবকিছুই মাথায় রেখে এনসিপি সব জাতিগোষ্ঠীর জন্য ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এসেছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি বহুভাষা ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।