চার দিন পর গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
আজ রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান তার মিডিয়া সেলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রাত আটটার পর গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা ও কারফিউ বলবৎ থাকবে না। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই (বুধবার) এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
সংঘর্ষের পর ১৬ জুলাই (বুধবার) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১১টা পর্যন্ত কারফিউর সময়সীমা বাড়ানো হয়। মাঝে তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবার কারফিউ জারি করা হয়।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউর সময় বাড়ানো হয়। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। এরপর শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৮টা থেকে রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি ছিল।
সর্বশেষ, রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সী।