গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের ময়নাতদন্ত প্রসঙ্গে যা জানাল হাসপাতাল

গোপালগঞ্জে গত ১৬ জুলাই সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার (২০ জুলাই) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সাংবাদিকদের কাছে পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত না করার বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের বক্তব্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। প্রকৃত ঘটনা এই যে, উল্লেখিত তারিখে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর জরুরি বিভাগে প্রথম মৃতদেহটি আসে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর রোগীর স্বজনদের লাশ ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে লাশ নেওয়ার কথা বললে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে জোরপূর্বক লাশ নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাকি মৃতদেহগুলোর স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয় না এবং হাসপাতালে কর্মরত-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোরপূর্বক মৃতদেহ নিয়ে যায়।’
‘উল্লেখ্য, এইসময় উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং চারিদিকে সংঘর্ষ চলমান থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসহায় বোধ করেন। তাছাড়া আহত লোকজনের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং অন্যান্য কর্মচারী আত্মনিয়োগ করায় ও বাহিরের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ঘটনা পুলিশকে মোবাইলফোনে এবং লিখিতভাবে জানানো হয়’, উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গোপালগঞ্জবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ পরিবার সর্বদা আত্ম-নিয়োজিত। আমরা আশা করি, উল্লেখিত বিবৃতির মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’