‘গণতন্ত্রের সংকট’ দেখা যাচ্ছে, সতর্ক থাকুন : মির্জা ফখরুল
দেশে ‘গণতন্ত্রের সংকট’ দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সামনে গণতন্ত্রের যে সংকট দেখা যাচ্ছে সেই সংকট থেকে উত্তরণ করতে হলে আমাদেরকে অনেক সজাগ-সতর্ক থাকতে হবে।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এই আহ্বান জানান।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হলে আমাদের আরও সজাগ হয়ে আরও সতর্কতার সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের তরুণ নেতা, যিনি আজকে সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করব, বাংলাদেশের মানুষকে জাগরিত করে তুলব।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন সার্বভৌম অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। আজকে আমি আমার নেতা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে একটা অনুরোধ রাখতে চাই, জনগণের সমর্থনে নির্বাচনের পরে আপনি যদি সরকার গঠন করেন তাহলে আমাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত, যে পরিবারগুলো তাদের সন্তানকে হারিয়েছে, অসহায় হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সেই সঙ্গে আমরা আরেকটা প্রস্তাব রাখতে চাই, এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আছেন, শিক্ষার্থীরা আছেন, আমরা আছি… শুধু কথায় নয়, আসুন আমরা এই পরিবারগুলোর জন্য একটা তহবিল তৈরি করি। যে তহবিলের মধ্য দিয়ে আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করতে পারি। তাদের জন্য আমাদের সত্যিকার অর্থে কাজ করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে আমাদের রাজনৈতিক এই অবস্থার মধ্য থেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ইনশাল্লাহ এটাকে আমরা রোধ করব। যাতে এদেশে একটা সহজ-সরল গণতন্ত্র আসে এবং আমরা ভোট দিতে পারি। আমি বলছি না বিএনপিকে জয়যুক্ত করেন। আমরাই ক্ষমতায় যাব- এরকম কথা আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও বলেননি, আমরাও বলছি না। কথা হলো যে, আমরা ভালো একটা নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের পরে দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এক সঙ্গে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও শিক্ষকদের উদ্যোগে ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান হয়।
অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, বিএনপির জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী, সদস্য সচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
সভায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু হোরায়রা, গণঅভ্যুত্থানে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ইমতিয়াজ আহমেদ আবির, সাজ্জাদ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন সজলের স্বজন, গণঅভ্যুত্থানে আহত আল মিরাজসহ আয়োজক কমিটির নেতারা বক্তব্য রাখেন।