আল্ট্রা হাই-ডেনসিটি পদ্ধতিতে আমচাষে বিপ্লব

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আল্ট্রা হাই-ডেনসিটি ম্যাঙ্গো প্ল্যান্টেশন (ইউএইচডিএমপি) পদ্ধতিতে আমচাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ফলন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকের আয়ও দ্বিগুণ করছে।
নওগাঁর রফিকুল ইসলাম ৩৫ শতক জমিতে আম্রপালি, বারি-৪ ও কলা আমের গাছ রোপণ করে গত বছর দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের হেফাজ উদ্দিন ৮৪টি গাছ থেকে পেয়েছেন ৫১ হাজার টাকা। রাজশাহীর জিয়ারুল ইসলাম ১৬০টি গাছ থেকে আয় করেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তানোরের তরুণ কৃষক রুবেল হোসেন ১৩০টি গাছ থেকে পেয়েছেন ৯১৬ কেজি আম, যার বিক্রি মূল্য ৫৫ হাজার টাকা।
এই পদ্ধতিতে প্রতি বিঘায় ২০০টি পর্যন্ত গাছ রোপণ সম্ভব, যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে মাত্র ১০টি হয়। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়, যেখানে প্রচলিত ব্যবস্থায় সময় লাগে আট-নয় বছর।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউএইচডিএমপি পদ্ধতিতে সঠিক সময়ে সেচ, সার এবং ছাঁটাই নিশ্চিত করলে তিনগুণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। পাশাপাশি পানির ব্যবহার অর্ধেকে নেমে আসে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মনজুরুল হুদা বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে এই পদ্ধতি কৃষিখাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আম্রপালি, বারি আম-৩ ও ৪-এর মতো উচ্চ ফলনশীল জাতের বাগান প্রতি বছরই বাড়ছে।
মনজুরুল হুদা জানান, ইউএইচডিএমপি পদ্ধতিতে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়, যেখানে প্রচলিত ব্যবস্থায় সময় লাগে ৮ থেকে ৯ বছর। এই পদ্ধতিতে প্রতি বিঘায় ২০০টি পর্যন্ত গাছ রোপণ করা যায়, যেখানে সাধারণ পদ্ধতিতে হয় মাত্র ১০টি।