ভারি বৃষ্টিতে চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বসতঘরে পানি

টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কখনও মাঝারি, কখনও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
বিশেষ করে শহরের নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমে অনেক বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে পরিবারগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত থেকে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা আজ বুধবার (৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড, নাজিরপাড়া, রহমতপুর কলোনিসহ বেশ কিছু সড়ক ও মহল্লায় হাঁটু পানি জমে রয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে, রাস্তায় পানি জমে থাকায় স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না তারা।
অপরদিকে, টানা বৃষ্টিতে জেলার গ্রামীণ সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাহরাস্তি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকাগুলো গেল বছরের মতো এবারও জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে, যাত্রী সংকটে চাঁদপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে লঞ্চ চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে লঞ্চ ছাড়তে না পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেক লঞ্চ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এলাকার ব্যবসায়ী বেলাল হোসাইন জানান, টানা বৃষ্টিতে দোকানের সামনে হাঁটু পানি জমে রয়েছে। ফলে ক্রেতারা দোকানে আসতে পারছেন না। বৃষ্টি এভাবে চলতে থাকলে দোকানের ভেতরেও পানি ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মো. শোয়েব জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২৩ মিলিমিটার এবং বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে।