ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বিপাকে পড়েছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা। তবে মহারাষ্ট্রের নবসেবা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে আমদানির অনুমতি চালু রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ভারতের এই একতরফা সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞার ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় আছেন। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান না হলে দুই দেশের বাণিজ্যে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গভীর হতাশায় পড়েছেন। গত শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদু স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন, যা তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
উল্লেখ্য, ভারত বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে তিন মাসে তিন দফায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। এর আগেও গত ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করেছিল।