কৃষি বীজ সংরক্ষণাগার ভেঙে সাবেক যুবদলনেতার দোকান নির্মাণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি পাতাইসার বাজারে সরকারি কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারের অংশ ভাঙচুর করে দখল নিয়ে দোকান নির্মাণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সাবেক যুবদল নেতা সামসুল আলমের বিরুদ্ধে। সামসুল আলম কসবা উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এবং খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি দেলি বাজারে কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারের সরকারি ভবনের একটি অংশ ভেঙে সেখানে দোকান নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। শনিবার (২৮ জুন) দেওয়াল ভাঙচুর করার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম থানার পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করেন। পরে সামসুল আলম নিজ খরচে দেওয়াল মেরামত করার আশ্বাস দেন।
স্থানীয়রা জানান, বীজ সংরক্ষণাগারের জমি ও ভবন কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত। সরকারি এই স্থাপনায় ব্যক্তিগত দোকান নির্মাণের চেষ্টা করা অবৈধ ও দখলের চেষ্টা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
অভিযুক্ত সামসুল আলম মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা। ওই স্থাপনা আগে থেকেই ভাঙচুর ও পরিত্যক্ত ছিল। আমি এর সাথে জড়িত নই। আমি ঝামেলা চাই না, তাই কৃষি কর্মকর্তাকে দেওয়াল মেরামত করে দেওয়ার কথা বলেছি। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, সরকারি জমি ও স্থাপনায় ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা নির্দেশ দিয়েছি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ সরকারি সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজ খরচে সামসুল আলম দেওয়াল মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় থানায় মামলা করা হয়নি।