শৈলদহ নদীর ভাঙনে হুমকিতে শতাধিক বসতবাড়ি ও স্থাপনা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পশ্চাদপদ ডুমরিয়া ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামে শৈলদহ নদীর ৭৬ মিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। দফায়-দফায় নদী ভাঙনে ইতোমধ্যেই একটি ব্রিজ ও সড়কের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে।
চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি, শত শত বিঘা ফসলি জমি, গাছপালা, একটি স্কুল, মন্দির, কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি পানি সরবরাহের জলাধারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রতিদিন এই নদীর পাড় দিয়ে পাটগাতী ও ডুমরিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে।
চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বোরহান আলী বিশ্বাস বলেন, আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত শৈলদহ নদীর ৭৬ মিটার এলাকাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখানে নদীর একটি বিশাল বাঁক রয়েছে, যেখানে স্রোতের ধাক্কায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এই বাঁকে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাকা সড়ক চিথলিয়া হয়ে ডুমরিয়া বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত। ইতোমধ্যে ব্রিজ ও সড়কের অংশবিশেষ ভেঙে নদীতে চলে গেছে।
বোরহান আলী বিশ্বাস আরও বলেন, গত ৩০ এপ্রিল সড়কের একটি অংশ এবং ৫ জুন ইউনিয়ন পানি সরবরাহ প্রকল্পের জলাধার সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এতে গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম রেফাত জামিল বলেন, শৈলদহ নদীর ৭৬ মিটার ভাঙনপ্রবণ এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে ৪৮ মিটার এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করে নদীভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ নেব।