সবজির দাম বাড়লেও কমেছে মুরগির দাম

বাজারে প্রতিটি সবজিরই দাম কিছুটা বাড়লেও কমেছে মুরগির দাম। শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, বনশ্রী, মিরপুর, ঝিগাতলা, মুগদা, শনিরআখড়াসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কচুর লতি, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঝিঙা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৮০-১০০, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি মানভেদে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি আকারভেদে ৩০-৪০ টাকা ও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজিতে। লাল লেয়ার ও সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২৪০ ও ২৩০ টাকা দরে।
দেশি মুরগির দাম এখনও তুলনামূলক বেশি, কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। হাঁস বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে, খাসি এক হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকা কেজি।
ডিমের আরতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, আর খুচরা পর্যায়ে এসব ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেও এটি ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানগুলোতে এখনো ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, রুই ও কাতল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি মান ও আকারভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
এছাড়া সাধারণ তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৯০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। দেশি জাতের শিং ও কৈ মাছ এখনও দুষ্প্রাপ্য, যার দর যথাক্রমে এক হাজার ২০০ ও ১০০০ টাকা কেজি।