খুলনায় দুজনকে গুলি করে, একজনকে গলা কেটে হত্যা

খুলনায় পৃথক স্থানে গুলি করে ও গলা কেটে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় দুজনকে গুলি করে এবং মহানগরীর হরিণটানা থানার রাজবন্ধ এলাকায় অপরজনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। অপরদিকে একই রাতে হরিণটানা থানার রাজবন্ধ এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় বাবলু দত্ত (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গুলিতে নিহতরা হলেন- সাব্বির ও সাদ্দাম। এ ছাড়া মিরাজ নামের অপর আহত যুবকের কোমরের পেছনে গুলি লেগেছে। তিনি খুলনা নগরীর একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে দশটার দিকে রূপসা রাজাপুর এলাকার সোহাগের বাড়িতে যান সাব্বির, মিরাজ ওরফে কাউয়া মিরাজ ও সাদ্দাম। পরবর্তীতে হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলেই সাব্বিরের মৃত্যু হয়। পরে সাদ্দামকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিটি মাথার পেছনের অংশে লাগায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এরপর অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান সাদ্দাম। মিরাজের কোমরে গুলি লাগায় তিনি খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, চানমারি ও লবণচরা এলাকার সন্ত্রাসী আশিক গ্রুপের অন্যতম সদস্য সাজ্জাদ হোসেনসহ ১০-১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এ হামলায় অংশ নেয়। মাদক সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত সাব্বির ও মিরাজ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেনেড বাবুর প্রধান সহযোগী। সোহাগের বাড়িতে অভ্যন্তরীণ বিরোধে এই গুলি চালানো হয়। আশিক ও সাজ্জাদ গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, একই রাতে হরিণটানা থানার রাজবন্ধ এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় বাবলু দত্ত (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত বাবলু দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা অমূল্য দত্তের ছেলে। তিনি বালু ও জমির ব্যবসা করতেন।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার জানান, ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।