ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে অপহরণ, গণধর্ষণ ও ঢাকার একটি পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনায় প্রধান আসামি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ ও র্যাব-৬-এর একটি যৌথ দল। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন। এ সময় র্যাব-১১ এর নোয়াখালী কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিথুন কুন্ডুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৭ মে নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তেরহাট এলাকা থেকে মাদ্রাসাছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অভিজিৎ মণ্ডল। এর কয়েক দিন পর অভিজিৎ ভিকটিমের পরিবারের কাছে মোবাইলে ফোন করে মেয়েকে ফেরত দেওয়ার শর্তে ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিকটিমকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার হুমকিও দেন তিনি।
এক মাস পর ঢাকার একটি সংগঠনের সহায়তায় যাত্রাবাড়ীর একটি পতিতালয় থেকে উদ্ধার করা হয় ভিকটিমকে। পরে ভিকটিমের মা সুধারাম থানায় অভিজিৎ মণ্ডলকে প্রধান আসামি ও তার বাবা শংকর মণ্ডলসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ভিকটিম বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালে ভিকটিম সাংবাদিকদের জানায়, অপহরণের পর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে অভিজিৎ ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে তাকে যাত্রাবাড়ীর একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়, যেখানে আরও প্রায় ৩০ জন মেয়ে ছিল।