আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট জেলার সারিগোয়াইন নদী, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা নদী ও নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী নদী সতর্কসীমায় (বিপৎসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে। তবে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতলে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস নিয়ে শনিবার (২১ জুন) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানা হয়।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মনু, যাদুকাটা, খোয়াই, ভুগাই-কংস ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানিসমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; অপরদিকে সারিগোয়াইন, জিঞ্জিরাম নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে; এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আজ মাঝারি-ভারি থেকে ভারি এবং আগামীকাল মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী দুদিন পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং তৃতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। সিলেট জেলার সারিগোয়াইন নদী, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা নদী ও নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী নদী আগামী ৪৮ ঘণ্টা সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে।

তিস্তা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী ৩ দিন বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এই অববাহিকায় আগামী ৩ দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে। আগামী চারদিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। সুরমা নদীর পানি আগামী ১ দিন হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

গঙ্গা নদীর পানি সমতলে বাড়ছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে। নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী চারদিন পর্যন্ত বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে মুহুরি, গোমতী ও হালদা নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছ। এই অববাহিকায় আগামী তিনদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতলে আগামীকাল পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে ও হ্রাস পেতে পারে। অপরদিকে আগামী দুদিন মুহুরি, গোমতী ও হালদা নদীর পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।