মেহেরপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন

মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে জাতীয় ফল কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি বাগান মালিকরা। তারা বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় রয়েছেন। বাজারে কাঁঠালের চাহিদা যেমন বেড়েছে, দামও রয়েছে মানুষের সাধ্যের মধ্যে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৮১৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন কাঁঠাল বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছ কাঁঠালে ভরপুর। সড়কের পাশে প্রায় ৫০ কিলোমিটার জুড়ে কাঁঠাল গাছ রয়েছে। গাংনী উপজেলার কাজিপুর, তেঁতুলবাড়িয়া, কাথুলী ও রায়পুর ইউনিয়নে কাঁঠাল গাছের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
স্থানীয় কাঁঠাল চাষিরা জানান, নির্ধারিত বাগান ছাড়াও সড়ক-মহাসড়ক, হাট-বাজার, গ্রামীণ জনপদ এবং বাড়ির আঙিনায় ব্যাপক হারে কাঁঠাল গাছ রোপণ করা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই সার, কীটনাশক এমনকি বিশেষ পরিচর্যা ছাড়াই গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং ফল দেয়। উৎপাদিত কাঁঠাল জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
কৃষিবিদরা জানান, কাঁঠালের কোনো অংশই ফেলে দিতে হয় না। ফলের রসে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। কাঁঠালের বিচি ও কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে রান্না করা যায়, খোলস ও পাতা গবাদিপশুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি হয়। এসব কারণেই মানুষ বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম জানান, এ বছর কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগে সড়কের পাশে কাঁঠাল গাছ লাগানো হচ্ছে। প্রতি বছর ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশে গাছ রোপণের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।