কোরবানি পশু জবাই করতে গিয়ে আহত তিন শতাধিক

চাঁদপুরে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু চাঁদপুর শহরেই আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
গতকাল শনিবার (৭ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আহতরা এসে চিকিৎসা নেন। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও দেড় শতাধিক।
জানা গেছে, কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে অসাবধানতার জন্য কারো কারো আঙুলও কাটা পড়েছে। অনেকে গরুর লাথি ও গুতা খেয়ে হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে কাতরাচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের শিমুল হাসান, আমিন, সাদেক ও জসিম মেহেদীসহ বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তি জানান, কোরবানি ঈদে সবাই একদিনের কসাই হিসেবে কাজ করে। এখানে সবাই অপেশাদার। যার কারণে অসাবধানতায় আমরা আহত হয়েছি। বিশেষ করে ছোট ছুরি দিয়ে গরুর মাংস কাটতে গিয়ে হাতে ছুরি লেগে কেটে যায়। পরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়।
সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নোমান মিয়া জানান, শুধু ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী এসেছে। এদের মধ্যে হাতে আঘাতপ্রাপ্ত রোগী সংখ্যা বেশি ছিল। তবে বিকেল থেকে রোগী সংখ্যা কমতে থাকে। যদিও আজ রোববার (৮ জুন) সকাল থেকে মারামারির রোগী আসতে শুরু করেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধশত রোগী হাসপাতালে এসেছে।
এ বিষয়ে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সর্মিষ্ঠা দে জানান, ঈদের দিন সকাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে কেউ গরুর শিং, আবার কেউ বা ছুরি চালাতে গিয়ে আঙুল কেটে ফেলেছে। সব মিলিয়ে দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। ১০-১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার সংখ্যাই বেশি।