ডাক্তার সেজে ঘরেই চালাচ্ছিলেন ক্লিনিক, বন্ধ করল প্রশাসন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করায় রিপন চন্দ্র দে নামে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তার পরিচালিত অবৈধ ‘মিলন মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ সিলগালা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজার এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রিপন চন্দ্র দে দীর্ঘদিন ধরে কোনো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই নিজের বাড়িতে ‘মিলন মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামের প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছিলেন। সেখানে কোনো ডিগ্রিধারী চিকিৎসক, দক্ষ নার্স, ল্যাব সহকারী বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান ছিলেন না। তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মিত বিভিন্ন রোগ নির্ণয় পরীক্ষা, চিকিৎসাসেবা এবং অস্ত্রোপচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘রিপন চন্দ্র দে একজন ডিগ্রিহীন ব্যক্তি, অথচ নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠানটিও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। এ ধরনের ভুয়া চিকিৎসা কার্যক্রম মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।