স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত-সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলছি, সেখানেও পূর্বের মতো বিভিন্ন উপায়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের মতো ঘটনাগুলো চলমান রয়েছে। শাসনের কারণে অনেকে মনে করে চাঁদা দেওয়াটা তাদের দায়িত্ব। যে কেউ এসে টোকেন ধরিয়ে ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা দাবি করে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা চাঁদা নেয়, তারা মনে করে এটা তাদের অধিকার। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলে আসছে, এখন কেন চলবে না। তাঁদের আমরা স্পষ্টভাবে বার্তা দিতে চাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পূর্ববর্তী আর কোনো এই ধরনের প্র্যাকটিস বরদাস্ত করা হবে না। সারা বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা যে কারণে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবন দিয়েছে, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য, সে বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পূর্ববর্তী সময়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ যেই বিষয়গুলো তরুণ সমাজকে ধ্বংস করেছে, সমাজকে ধ্বংস করেছে, সেগুলোকে খুব শক্ত হাতে দমন করা হবে।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের এখানে এখনও সচেতন মানুষজন আছে, যারা এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, যারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এটা আমাদের গর্ব যে মুরাদনগর এখনও সচেতন মানুষ আছে। আমরা সারা দেশের তরুণ সমাজকে আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা যেখানেই চাঁদাবাজি দেখবেন, যেখানেই দেখবেন বিভিন্ন সমিতির নামে টোকেন ধরিয়ে দিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেখানেই প্রতিরোধ করবেন এবং রুখে দেবেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ এই চাঁদাবাজদের ও মাদক সন্ত্রাসীদের দমনে কাজ করে যাচ্ছে। আমি মুরাদনগরবাসীকে আহ্বান জানাবো, আপনারা স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন, তথ্য দিয়ে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াবেন, যেন এই ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি সাকিব হাসান খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট ওবায়দুল্লাহ।