অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাহাজ নির্মাণ কাজে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। এখন এ খাতের শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগরে থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন ধরনের নৌযানের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।

নৌপরিবহণ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই শিপইয়ার্ডে আমাদের ১৮টি নৌযানের নির্মাণ কাজ চলছে। আমি এসেছিলাম সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আগামী বছরের মার্চ থেকে আমরা নৌযানগুলো বুঝে পাব।’

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা মেঘনা নদীতে অবৈধ বালুমহাল বন্ধে নৌ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা কর্বন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমার মন্ত্রণালয় শুধু হাইটোগ্রাফিক সার্ভের কাজ করে। বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। অবৈধ বালুমহালের ব্যাপারে আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী বছরের মার্চ থেকে নৌযানগুলো বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করব। ৯ মাসে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ফেরি, দুটি ফায়ার ফাইটিং টাগবোট, দুটি কোস্টাল ওয়েল ট্যাংকার, চারটি কেস্টাল সি-ট্রাক, তিনটি মর্ডান ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল ও একটি ইনস্পেকশন বোট হস্তান্তর করা হবে।’

এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার বণিক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসির প্রকল্প ও প্রধান প্রকৌশলী পরিচালক জিয়াউল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ।