বরিশাল মহাশ্মশানে পালিত হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে এই দীপাবলি হয়।

এতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রয়াত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি, ধূপ ও প্রদীপ প্রজ্বালন করেন। ঐতিহ্যবাহী এই মহাশ্মশানে শ্রদ্ধা জানাতে নেপাল ও ভারতসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। ৭০ হাজার সমাধির মহাশ্মশানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন ও আয়োজকদের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা হয় নিরাপত্তা বলয়।

স্থানীয়দের দাবি, ২০০ বছর ধরে চলে আসছে এই দীপাবলি উৎসব। সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা ও পুণ্য লাভের আশায় প্রতি বছর ভূতচতুর্দশীর পুণ্যতিথিতে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যার আগেই স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আসেন শ্মশানে। প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দীপাবলি। প্রয়াত স্বজনদের সমাধি সাজানো হয় পছন্দের খাবারসহ নানা উপাচারে। প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনায় ধর্মীয় রীতি অনুয়ায়ী চলে প্রার্থনা।

দীপাবলি উৎসবে আগত শুভ রায় বলেন, বাবার সমাধিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁকে স্মরণ করতে এসেছি। তিনি মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন, তাই তাঁর সমাধিতে নানা ধরনের মিষ্টি সাজিয়ে উৎসর্গ করেছি।

শ্মশান দীপাবলি ও কালীপূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিজয় ভক্ত বলেন, প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শ্মশানটি ২০০ বছরের প্রাচীন ও দেশের অন্যতম বৃহৎ মহাশ্মশান। শুধু দেশেরই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম মহাশ্মশান এটি। মহাশ্মশান প্রাঙ্গণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র‌্যাব, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।