রায়ের পূর্ণ কপি পেলে মাহিদুর-আফসারের আপিল

রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটু। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে বেরিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দুই আসামির আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার।
এ সময় রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আবদুস সোবহান তরফদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত রায়েই তদন্ত কর্মকর্তাকে অথর্ব বলেছেন। যে অভিযোগে তিনি যাবজ্জীবন সাজা খেটেছিলেন, সেই একই অভিযোগে আবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগে গঠন করায় তদন্ত কর্মকর্তা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এ অভিযোগ থেকেই প্রমাণিত হয়, বাকি দুটি অভিযোগও সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবেই তাঁদের জড়ানো হয়েছে। যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে যদি হাইকোর্টে আপিল করা না হতো, তাহলে আমরা মামলার কোনো নথি বা রেকর্ডও পেতাম না। যে দুটি অভিযোগে আজ ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছেন, এ দুটি অভিযোগের অনেক নথি তদন্ত কর্মকর্তা লুকায়িত করেছেন। তাই অভিযোগের বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
তবে রায়ের সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। এ মামলার প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য ছিল। যেহেতু তাঁরা এর আগে একটি অভিযোগে সাজা খেটেছেন, সে জন্য তাঁদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।’
আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ফাঁসি চেয়ে আপিল করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মাহিদুর ও আফসারকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।