প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রশংসা বিএনপির

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রশংসা করেছে বিএনপি। তাঁর ওই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে দলটির পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে,প্রধানমন্ত্রীর
এ বক্তব্যকে বেসলাইন ভিত্তি ধরে দেশে শান্তি ও সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জনগণের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার সমূহ চর্চার পথে সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হবে।
urgentPhoto
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আমরা সংঘাত নয়, শান্তি চাই এমন বক্তব্যের প্রশংসা করেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। পাশাপাশি তিনি আটক বিএনপি নেতাদের মুক্তি এবং একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সবার সাথে আলাপ-আলোচনা-সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের শান্তি, অগ্রগতি ও সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি সবাইকে বলতে চাই- আমরা সংঘাত নয়, শান্তি চাই। আমরা অগ্রগতি চাই, পিছিয়ে যেতে চাই না এবং আমরা সৃষ্টি চাই, ধ্বংস চাই না।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা সাধুবাদ জানাই।... বিএনপি আগাগোড়াই দেশে সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতির বিপরীতে শান্তি-সমঝোতা-সম্প্রীতির রাজনীতির পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থানের কথা বলে আসছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্যি যে, সরকার সংবিধান স্বীকৃত সভা-সমাবেশ-মিছিল-হরতাল-অবরোধের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে হরণ করেছে এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথকে উৎসাহিত করছে। এর ফলে বিরোধী মত দলিত হচ্ছে। বিরোধী নেতা-কর্মীরা খুন, গুম, মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সুশাসন ও গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়।
বিএনপি কখনই সংঘাত-নৈরাজ্য-হানাহানি-রক্তারক্তির রাজনীতিকে প্রশ্রয় ও সমর্থন দেয় না উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বরাবরই শান্তিপূর্ণ পন্থায় জনগণকে সাথে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে সরকার গঠনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু, ক্ষমতাসীনরাই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনে জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং জনগণের ভোটের অধিকারের দাবির পক্ষে গড়ে ওঠা বিশ্বজনমতকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে চলেছে।
বিএনপি আশা করে, সুস্থ-স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বিরোধী দল ও নেতৃত্বকে নির্মূল করার প্রতিহিংসাপরায়ণ খেলা বন্ধ হবে। পাশাপাশি সরকারের যেসব মন্ত্রী-নেতা অতিকথন ও অরুচিকর মন্তব্য প্রকাশ করে শান্তি-সমঝোতার রাজনীতির পথকে সংকুচিত করার প্রায়ই চেষ্টা চালান, তাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর বন্ধ হবে।