রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকে মারধরের ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাপ্পা ও তাঁর সহযোগীদের বাহিষ্কার এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে রাঙামাটি শহরজুড়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।

রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নামে ওই পোস্টারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদসহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে হামলার জন্য সুলতান মাহমুদ বাপ্পাকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাত থেকেই শহরের কলেজগেট, তবলছড়ি, রিজার্ভবাজার, বনরূপা, ভেদভেদীসহ প্রায় সব এলাকায় এই পোস্টার চোখে পড়ে।

গত বুধবার রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ রিয়াদ, তাঁর তিন সহযোগী এবং স্থানীয় এক যুবককে কলেজ ক্যাম্পাসে বেদম মারধর করে বাপ্পা ও তাঁর সহযোগী ফাহিম, মাহিম, দীপংকর, ছোটন, নুর আলমসহ বেশ কয়েকজন।

চোখে ও পিঠে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় রিয়াদকে প্রথমে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রিয়াদকে দেখতে যান রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা দীপংকর তালুকদার।

পরে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাঙামাটি কলেজ ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলেজ ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর অপকর্মের দায় জেলা ছাত্রলীগ নেবে না।