ডিসি জাহিদুলের গোপালগঞ্জের বাড়িতে শোক

রাজশাহীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শুকতাইল গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর আত্মীয়স্বজন অনেকটা ভেঙে পড়েছে।
প্রয়াত জাহিদুল ইসলামের বাবার নাম সায়েদুল হক মোল্লা। তিনিও সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ছিলেন সবার বড়।
জেলা প্রশাসকের চাচাতো ভাই সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুকতাইল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাহিদুল ইসলামের জানাজা হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক। তাঁর বড় মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মীম ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থী, ছোট মেয়ে ফাহেমা-তুজ-জোহরা দশম শ্রেণিতে এবং ছেলে মোহম্মদ ইয়াছিন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
শহীদুল ইসলাম আরো জানান, জাহিদুল ইসলামের পরিবার একটি শিক্ষানুরাগী পরিবার। ভাইদের মধ্যে আজিম মোল্লা গ্রামে স্টক ব্যবসা করেন। শামীম মোল্লা খুলনা বিএল কলেজের প্রভাষক, জসিম মোল্লা যশোর এমএম কলেজের প্রভাষক আর অসিম মোল্লা বিএল কলেজের প্রভাষক। বোনদের মধ্যে বড় বোন সাবানা বেগম খুলনা পুলিশ লাইন স্কুল ও ছোট বোন শিল্পী বেগম নিউজ প্রিন্ট হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
জাহিদুল ইসলাম ২০১৫ সালে গরিব ও মেধাধী শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য নিজ গ্রামে মো. জাহিদুল ইসলাম নাসিম অ্যান্ড ফ্যামিলি ইনসেফটিক নামের একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। এ ছাড়া নিজ গ্রামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। এবার বাড়িতে এলে ওই কলেজের জায়গা নির্ধারণ করার কথা ছিল। ওই কলেজ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগও গ্রহণ করেছিলেন।
শুকতাইল গ্রামের লোকজন জানায়, জাহিদুল ইসলাম ছিলেন সাধাসিধে স্বভাবের মানুষ। বাড়িতে এলে গ্রামের গরিব ও অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ নিতেন। মোবাইল ফোনেও তাদের খোঁজ-খবর রাখতেন। সাধারণ মানুষজন বিভিন্ন প্রয়োজনে তাঁকে ফোন করতেন।