স্কুলে ঢুকে ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করল বখাটেরা

নেত্রকোনার পূর্বধলায় স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে বখাটেরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রীটিকে লাঞ্ছিত করে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত শাহাদত হোসেন ও তার সঙ্গীরা। শাহাদতের বাড়ি উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নে।
ঘটনার কিছু সময় পর গতকাল বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহাদতদের শ্যামগঞ্জের বাসা ভাঙচুর ও বখাটেদের বিচার দাবিতে পরীক্ষা বন্ধ রেখে শ্যামগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাহাদতের সঙ্গী উপজেলার গোহালাকান্দা গ্রামের আবুল কালামকে আটক করে পুলিশ।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান জানান, গতকাল উপজেলার জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী মডেল পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায়। পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে তার এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিল সে। এ সময় শাহাদতসহ আরো কয়েকজন বখাটে তাকে ঘেরাও করে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তখন সে দৌড়ে বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকক্ষে ঢুকে পড়ে। এ সময় তার পিছু ধাওয়া করে বখাটেরাও পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি সেখান থেকে শিক্ষক মিলনায়তনে চলে যায়। বখাটেরা সেখানে গিয়েও মেয়েটিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও তাকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আজ বুধবার বখাটে শাহাদতসহ অন্যদের গ্রেপ্তার ও তার বিচারের দাবিতে পরীক্ষা বন্ধ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা শ্যামগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষার্থীরা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বখাটেদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা বন্ধ থাকে।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া মূল অভিযুক্ত শাহাদতকেও আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানিয়েছেন শিগগিরই মামলা করা হবে।