নেত্রকোনা পৌরসভায় ৩৭ স্থানে পশু কোরবানি

নেত্রকোনা পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় পশু কোরবানির জন্য শহরের ৩৭টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব স্থানে সবাইকে কোরবানি দেওয়ার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরে মাইকিংসহ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত স্থানগুলো হলো-
১ নম্বর ওয়ার্ড-ছোটগাড়া জামে মসজিদের সামনের খোলা জায়গা, বর্শিকুড়া জামে মসজিদের সামনের খোলা জায়গা, উত্তর সাতপাই জামে মসজিদের সামনের খোলা জায়গা, প্রফেসরপাড়া জামে মসজিদের সামনের খোলা জায়গা, গ্রামসাতপাই জামে মসজিদের সামনের খোলা জায়গা, দক্ষিণ সাতপাই জামে মসজিদের সামনের খোলা জায়গা ।
২ নম্বর ওয়ার্ড-গাড়া রোডের লালু-কালুর মাঠ, দক্ষিণ সাতপাইয়ের সওদাগরপাড়ার মাঠ, চকপাড়া মাঠ।
৩ নম্বর ওয়াডর-চকপাড়া মালগুদাম মাঠ, মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, মঈনপুর ঈদগাহ মাঠ, পূর্ব মঈনপুর ঈদগাহ মাঠ।
৪ নম্বর ওয়ার্ড-বাহিরচাপড়া পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠ, রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুল মাঠ, বালুয়াখালি ঈদগাহ মাঠ, জামিয়া মিফতাহুম উলুম মাদ্রাসার মাঠ, বারহাট্রা রোডের মহিলা মাদ্রাসার মাঠ।
৫ নম্বর ওয়ার্ড-চন্দ্রনাথ স্কুল মাঠ, শিবগঞ্জ নদীরপাড় গোদামের সামনের মাঠ, পশ্চিম মালনী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, পূর্ব মালনী আমগাছতলা মসজিদ মাঠ, উত্তরমালনী মসজিদের সামনের মাঠ।
৬ নম্বর ওয়ার্ড-বড়বাজার মসজিদের পিছনের খোলা জায়গা, আরামবাগ তথ্য অফিস সংলগ্ন খোলা জায়গা।
৭ নম্বর ওয়ার্ড- জয়নগর মাঠ, পৌর পানি সরবরাহ শাখা অফিস সংলগ্ন ফাঁকা মাঠ।
৮ নম্বর ওয়ার্ড-উত্তর নাগড়া জেলাপরিষদ সংলগ্ন মাঠ, মধ্য নাগড়া পথকলি স্কুল মাঠ, নাগড়া পশ্চিম আনন্দবাজার সংলগ্ন মাঠ।
৯ নম্বর ওয়ার্ড-ধারিয়া মফিজ আলী বাড়ির মোড় , ক্ষতিবনগুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বলাই নগুয়া মানিক মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠ, কুড়পাড় বিএডিসির সামনের মাঠ, পারলা রাহি মিয়ার মিলের সামনের খোলা জায়গা, হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও চল্লিশাকান্দা খালপাড় মাঠ।
নেত্রকোনা পৌরসভার সচিব আব্দুল ওয়াদুদ জানান, নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে সামিয়ানা টানিয়ে রাখা হবে। কোরবানি দেওয়ার জন্য মাওলানাসহ প্রয়োজনীয় লোকবল থাকবে প্রতিটি নির্দিষ্ট স্থানেই। মাংস কাটা, বিতরণসহ প্রত্যেকের বাড়িতে মাংস ভ্যান দিয়ে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও থাকছে পৌরসভার কাঁধে। তিনি আরো বলেন,পশু কোরবানির রক্ত ও বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষণ রোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেখানে সেখানে রক্ত ও বর্জ্য ফেলে রাখলে পরিবেশ দূষিত হয়। তা ছাড়া দ্রুত এসব বর্জ্য পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। এতে মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাড়াঁয়।
নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র আলহাজ নজরুল ইসলাম খান বলেন, এবারই পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট স্থানে এই আয়োজন করা হয়েছে। কাউন্সিলরেরা নির্দিষ্টস্থানে কোরবানি দেওয়ার তত্ত্বাবধান করবেন।