রংপুরের পীরগঞ্জে তানজিনা খাতুন (৭) নামের এক মেয়েশিশুকে হত্যার দায়ে বাবা আবু তাহের (৪১) ও সৎমা লাবণী বেগমের (২৯) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন রংপুরের একটি আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ফারুক মো. রিয়াজুল করিম। আর আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সুলতান আহম্মেদ শাহীন।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়,  ১৯৯৭ সালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় ফলিয়া গ্রামের সালেহা বেগমের সঙ্গে কাফ্রিখাল এলাকার আবু তাহেরের বিয়ে হয়। তাঁদের সন্তান তানজিলা। এর পর ২০০৭ সালে আবু তাহের গোপনে একই এলাকার সোনা মিয়ার স্ত্রী লাবণীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।

২০০৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মেয়ে তানজিলা ও দ্বিতীয় স্ত্রী লাবণীসহ পার্শ্ববর্তী শ্যামপুর এলাকায় বেড়াতে যান আবু তাহের। বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাফ্রিখাল শিমুলতলা এলাকায় আবু তাহের ও তাঁর স্ত্রী মিলে শ্বাসরোধে শিশু তানজিলাকে হত্যা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে বাবা আবু তাহেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও লাবণী পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

এ ঘটনার পরের দিন নিহত তানজিলার মামা সাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দুজনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন  মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।