খালিয়াজুরীতে আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, উত্তেজনা

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নারীসহ সাতজন আহত হয়েছে। আহতদের খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা খালিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সানোয়ারুজ্জামান জোসেফ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম আবু ইসহাকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হচ্ছেন হান্নান মিয়া (৪০), টিপু মিয়া (৪৬), জহর মিয়া (৪২), মিঠু সরকার (২৮), বকুল মিয়া (৪৫), শাহ আলম (৪৩) ও সাজেদা খাতুন (৪৫)। এর মধ্যে গুরুতর আহত বকুল মিয়া ও শাহ আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী জানান, আওয়ামী লীগের দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোলাম আবু ইসহাককে ১৪ ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হন সানোয়ারুজ্জামান জোসেফ। নির্বাচনের দিন গোলাম আবু ইসহাকের ছোট ভাই গোলাম আবু কাওসার পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় বিরোধ আরো চরম আকার ধারণ করে।
আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের বাজারের নুরু মিয়ার চায়ের দোকানে দুই পক্ষের সমর্থকের মধ্যে শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোলাম আবু ইসহাকের সমর্থক নেতাকর্মীরা জোসেফের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এর কিছু সময় পর জোসেফের পক্ষের নেতাকর্মীরাও পাল্টা হমলা চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হন।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে জোসেফের কর্মীরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহেদ মিয়ার উপজেলা সদরের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় শাহেদ মিয়ার স্ত্রী সাজেদা খাতুন আহত হন।
বিকেল ৫টার দিকে ওসি শওকত আলী জানান, এখনো দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরের দুই দিকে দল বেঁধে অবস্থান করছে। পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। নেত্রকোনা জেলা পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হচ্ছে বলে জানান ওসি।