সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল : বিএনপি

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের জনপ্রিয়তায় ঘাবড়ে গিয়ে ক্ষমতাসীন দল সন্ত্রাসের পথ অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল কেন খালেদা জিয়াকে ভয় করছে? গতকাল মঙ্গলবার ফকিরাপুলের কাছে তাঁর গাড়িবহরের ওপর হামলা চালানো হয়। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতাসীন দল এখন সন্ত্রাসবাদের পথ বেছে নিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলকে অনুরোধ করছি তারা যেন রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলা করে। আপনারা দয়া করে উত্তেজনা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকুন।’
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে কিছু সন্ত্রাসীকে অংশ নিতে দেখা গেছে এমন অভিযোগ করে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এতে করে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এভাবে সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রচারণা চালালে সাধারণ মানুষ ভয় পাবে।’
নির্বাচন কমিশনকে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ফকিরাপুলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি সাংবাদিকদের দেখিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডার’রাই এই হামলা চালিয়েছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন ও অনুকূল পরিবেশের জন্য ২৬ তারিখ থেকে নয় বরং আজ থেকেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেনা মোতায়েন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তিনদিন আগেই সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নেওয়া নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে আমরা এরই মধ্যে স্বাগত জানিয়েছি। তবে যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার সৃষ্টি করছে এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলা চালাচ্ছে তাই আজ থেকেই সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন হওয়া সেনাসদস্যদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ারও দাবি জানান আসাদুজ্জামান। তা না হলে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলেও হুঁশিয়ার করে দেন বিএনপির এই নেতা।