ঝালকাঠিতে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে রোগ

ঝালকাঠিতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সুগন্ধা, বিষখালী ও ভাসন্ডা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পানি কমলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে বসতঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের ক্ষেত। এ ছাড়া এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
গভীর নলকূপগুলো তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি অনেক পরিবারই পানযোগ্য পানির সংকটে আছে। আর পানিবন্দি এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগে। জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। অর্ধশত রোগী জেলার চারটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
নলছিটির মধ্য মালিপুর গ্রামের মানিক হোসেন জানান, তাঁর পরিবারের শিশুসহ তিনজন চর্মরোগ ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি সদরের নতুন কলাবাগান এলাকার মাসুম হোসেন বলেন, ‘আমি রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। আমার পরিবারে আরো দুজন কাশিতে আক্রান্ত।’
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. আবদুর রহিম জানান, জলাবদ্ধতায় অনেক সময় পানিবাহিত রোগ হয়। এসব রোগে আক্রান্ত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন বন্যার্তদের ঘরের পাশে ও রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে না নামার পরামর্শ দিয়েছেন।