ওড়না ধরে টান, প্রতিবাদ করায় চুল ধরে লাথি

নেত্রকোনা সদর উপজেলার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে নবম শ্রেণির দুই ছাত্র। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীকে তারা চুলের মুঠি ধরে লাথি মারে।
সোমবার উপজেলার মদনপুর শাহ সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, নেত্রকোনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম বজলুল কাদের শাহ্জাহান বলেন, গতকাল সোমবার দরিদ্র্য পরিবারের মেয়েটির ওড়না ধরে টান দেয় স্কুলেরই নবম শ্রেণির ছাত্র মদনপুর মধ্যপাড়ার রিয়াদ ফারাস ও ফকিরপাড়ার রিয়াদুল ফারাস। ছাত্রীটি এর প্রতিবাদ করলে তারা চুলের মুঠি ধরে লাথি মারে।
‘এ খবর স্কুলে ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আমি স্কুলে এসে শিক্ষক ও কয়েকজন এলাকাবাসীকে নিয়ে দরবারের মাধ্যমে বখাটেদের মাফ চাইতে বলি। তখন তারা সেটি না মেনে উল্টো দলবল নিয়ে স্কুলের গেটে ছাত্রীটির ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা শিক্ষকদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।’
এস এম বজলুল কাদের শাহ্জাহান বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করি। তিনি পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভয় পেয়ে আজ স্কুলে আসেনি। আগামীকাল বুধবার এ ব্যাপারে দরবারের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা না হলে স্কুলের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফুর রহমান ফকির বলেন, ‘এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে ভয়ে-আতঙ্কে অনেক ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দেবে।’
অভিযুক্ত এক ছাত্রের চাচা আলতাবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।’