জাদুটোনা কাজ না করায় কবিরাজকে হত্যা!

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকার বাসিন্দা কবিরাজ কালা চান ফকিরকে (৪৫) আজ শনিবার ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কবিরাজ কালা চান ফকির ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলদবাড়ি গ্রামের হারেছ উদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিনের (২৫) কাছ থেকে চার হাজার টাকা নেন। বিনিময়ে আজিমকে একটি তাবিজ দেন। কালা চান ফকির প্রতিশ্রুতি দেন, ওই তাবিজের ফলে তাঁর পছন্দের মেয়ের ওপর তিনি বশ করতে পারবেন এবং বাসা থেকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করতে পারবেন। কিন্তু তিন মাসেও কোনো কাজ না হওয়ায় আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে তাঁর বন্ধুরা আজ শনিবার দুপুরে পাশেই পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকার কালা চান ফকিরের কাছে টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে কালা চান ফকিরের সঙ্গে যুবকদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত যুবকরা কালা চান ফকিরকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গৌরীপুর থানার পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজিম উদ্দিন ও মাসুদ মিয়াকে আটক করে।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে পূর্বধলা উপজেলার আলীপুর গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আবদুল মোতালেব ও তাঁর ছেলে ইসলাম উদ্দিন এবং ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী শিউলী আক্তার আজিজুল হকের স্ত্রী আবিদা সুলতানাকে (৩০) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত আবিদা সুলতানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শ্যামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, আবিদা সুলতানা হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আবদুল মোতালেব (৬৫) ও তাঁর ছেলের বউ শিউলী আক্তারকে আটক করা হয়েছে।