শোলাকিয়ায় নিহত আনসারুলকে ‘শহীদ’ স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল হককে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তাঁর স্বজনরা। নিহত আনসারুলের স্বজনরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পাশাপাশি প্রাপ্য সুবিধাও চেয়েছে।
গত ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দানের পাশে জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন কনস্টেবল আনসারুল হক। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে।
ঘটনার বিচার ও ঘটনার সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন আনসারুলের বৃদ্ধা মা রাবিয়া আক্তার।
রাবিয়া আক্তার এখনো ছেলের কথা মনে করে বার বার প্রলাপ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পুত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নিজের জীবন দিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাইচে, দেশের লাইগা জীবন দিছে। আমার ছেলে শহীদ। আমার ছেলেরে যারা মারছে তাদের ফাঁসি চাই।’
আনসারুলের স্ত্রী লুনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী শহীদ হয়েছেন, সরকারের কাছে আমার দাবি আমি যেন শহীদের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাই।’
আনসারুলের ছোট ভাই রিকশাচালক আমিরুল হক বলেন, ‘আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে এতে আমাদের কোনো দুঃখ নাই। তবে সরকার আমার ভাইকে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে আমাদের সংসারের অভাব অনটনের মাঝেও আমরা মনে শান্তি পাইতাম।’
এ ব্যাপারে মদন পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা এ কে এম শামছুল হক বলেন, ‘দেশের জন্য যারা জীবন বিসর্জন দেন তাদের শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে এসব পরিবার সহজেই শোক কাটিয়ে উঠে সমাজে উজ্জ্বল হয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। আমি আনসারুলকে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’
তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘দেশের জন্য যারা জীবন দেন তাঁদের শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে দেশের ভবিষ্যৎ মঙ্গল হবে। আমিও চাই তাঁরা যেন শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পান।’