নেত্রকোনায় দুই মাদ্রাসাছাত্রসহ ৫ জন নিখোঁজ

নেত্রকোনায় দুই মাদ্রাসাছাত্র ও তিন যুবকসহ পাঁচজন বিভিন্ন স্থান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। এদের সন্ধান চেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তাঁদের আত্মীয়রা। চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
নেত্রকোনা সদর, কেন্দুয়া ও পূর্বধলা উপজেলা থেকে নিখোঁজ হয়েছে মাদ্রাসাছাত্র আবদুল্লাহ আল-রাফি (১২) ও আল-আমিন (১২) এবং তিন যুবক ওয়াসিম মিয়া (২০), নূরে আলম (২৭) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৫)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা পৌর শহরের কুড়পাড় এলাকার ভূঁইয়াবাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আবদুল্লাহ আল-রাফি পূর্বকাটলী এলাকার সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আবদুস সাত্তারের ছেলে ছয় মাস ধরে নিখোঁজ। মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্র হিসেবে লেখাপড়া করত বাকী। ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সে বাড়িতে আসে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে রাফি মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ।
রাফির চাচা লাল মিয়া জানান, রাফি নিখোঁজের পর থেকে তাঁর সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং, পত্রিকায় খবর, পোস্টারিং করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তাঁর বাবা-মা পাগলপ্রায়। কিন্তু সাত মাস পার হলেও তার খোঁজ মেলেনি।
গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে আল-আমিন। সে নেত্রকোনা জেলা শহরের নাগড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ত। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয় গত বছরের ৯ মার্চ।
সদর উপজেলার মনাং গ্রামের মো. ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে নূরে আলম। তিনি এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।
এ ছাড়া জেলার পূর্বধলা উপজেলার ধোবা-হোগলা গ্রামের মো. আবদুল গনির ছেলে ওয়াসিম মিয়া। পড়শোনা করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ওয়াসিম গত ১২ এপ্রিল ওমান যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বাড়ি থেকে ঢাকায় যান। সেই থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
ওয়াসিমের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি। আমি প্রতিদিন তার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকি।’
অপরদিকে কেন্দুয়া উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের আবদুর রবের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় বোনের বাসায় যান। চার পাঁচদিন থাকার পর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।
নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র ও যুবকদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করি অচিরেই তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত করা যাবে।