রেড নোটিশের সাথে নির্বাচনের কানেকশন নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল। এর সাথে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে কানাডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার রোনোয়া পিয়ার লারেমে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক জিয়া লন্ডনে থাকে। তাঁর এখন পাসপোর্ট নাই। দিস ম্যান ইজ এ ফেরারি। সে একটা ডেনজারাস লোক। কারণ অমুক অমুক মামলার সে আসামি ইত্যাদি। এটা রেড অ্যালার্ট। অ্যালার্ট করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বকে অ্যালার্ট করা হয়েছে একটা ব্যক্তি সম্পর্কে। এর সাথে চাপের বা নির্বাচনের কোনো কানেকশন নাই।’
বিগত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপি সরকার আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি অভিযোগ করে তোফায়েল আহমেদ দাবি করেন, তাঁর সরকারের সময় সবগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সেসব নির্বাচনে বিএনপি শুধু অংশই নেয়নি; বেশকিছু নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ীও হয়েছে।
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে মন্তব্য করে বাণিজ্য বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার তিন মাসের হরতাল-অবরোধে মানুষ পুড়িয়ে মারার জবাব জনগণ ভোটের মাধ্যমে দেবে।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অরগানাইজেশন (ইন্টারপোল) সম্প্রতি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করে। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা ‘পলাতক’ ব্যক্তিদের তালিকার একেবারে শেষে তাঁর নাম দেখতে পাওয়া যায়। তবে ঠিক কবে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইন্টারপোলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, রেড নোটিশের মাধ্যমে ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের অবস্থান জানা এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়। আর এর লক্ষ্য থাকে ওই ব্যক্তিরা যে দেশে দোষী সাব্যস্ত, সেই দেশে প্রত্যর্পণ বা এ ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
ইন্টারপোলের নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচার কর্তৃপক্ষের কাছে তারেক রহমান পলাতক। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা এবং আওয়ামী লীগের সভায় হ্যান্ডগ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে।’
ইন্টারপোলের নোটিশে পারিবারিক নাম হিসেবে ‘তারেক রহমান’ এবং ডাকনাম হিসেবে ‘তারেক জিয়া’ উল্লেখ করা হয়েছে। বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৪৭ বছর। তিনি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষা জানেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারেক রহমানের শারীরিক বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, উচ্চতা ১ দশমিক ৬৮ মিটার, চুল ও চোখের রং কালো। তাঁর ব্যাপারে কোনো তথ্য পেলে জাতীয় বা স্থানীয় পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।