স্কুলে গিয়ে প্রশ্ন, হুমায়ূন আহমেদ নামাজ পড়তেন?

নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ১৯ জুলাই। এরই মধ্যে ওই মৃত্যুবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে গ্রামে অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তির আচরণে শিক্ষকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ‘জঙ্গি হামলা’র আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে গত ১৩ জুলাই কেন্দুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর : ৪৭৮) করেছেন বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান জানান, রমজান মাসের শেষের দিকে কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের গড়া শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে অজ্ঞাত পরিচয়ের মধ্যবয়সী এক ‘পাগল’ লোক আসে। তাকে তাড়ালেও এখান থেকে যেতে চায় না এবং কারো সঙ্গে কথা বলে না। পাগল ভেবে কেউ আর কিছু বলেনি। এ অবস্থায় গত ১০ জুলাই অজ্ঞাতপরিচয়ের দুই যুবক এসে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলে। তারা কুতুবপুর গ্রামের আবদুস সালাম, আলী হোসেন, আল আমিনসহ গ্রামের বেশ কিছু লোকের কাছে জানতে চায়, হুমায়ূন আহমেদ কেমন লোক ছিলেন, নামাজ পড়তেন কি না, মসজিদে দান-খয়রাত করতেন কি না, ইসলাম ধর্মীয় কাজে সম্পৃক্ত হতেন কি না ইত্যাদি। একপর্যায়ে তারা স্কুলের পাশের শিক্ষকদের বসার ঘরে গিয়েও একই তথ্য জানতে চায়। পরিচয় জানতে চাইলে কৌশলে পরিচয় না দিয়েই তারা চলে যায়। এতে সন্দেহ হলে গত ১৩ জুলাই থানায় জিডি করা হয়।
প্রধান শিক্ষক জানান, আগামী ১৯ জুলাই হুমায়ূন আহমেদ স্যারের চতুর্থ মৃত্যুবাষিকী পালনের প্রস্তুতি চলাকালে সন্দেহভাজনদের এ আচরণ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিরঞ্জন দেব জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।