ময়মনসিংহে তরু খুন, ২ বন্ধু গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহে কিশোর তৌহিদুল ইসলাম তরু হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গতকাল রোববার রাতে একজনকে এবং আজ সোমবার বিকেলে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলো তরুর বন্ধু কেফায়েতউল্লা বিন নাসির ও মবিন। অপর আসামি রানা এখনো পলাতক।
র্যাব-১৪ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, রোববার রাতে শহরতলীর কাশর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি কেফায়েতকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেফায়েত বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরতলীর চুরখাই বাজার এলাকা থেকে অপর আসামি মবিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। সেখানে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামীম আরা বেগম এই তথ্য জানিয়ে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ২২ জুন দুপুরে তৌহিদুল ইসলাম তরুকে মুঠোফোনে ইফতারের দাওয়াত দেয় বন্ধু কেফায়েত উল্লাহ বিন নাসির। সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড়ে কমিউনিটি বেইজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সিবিএমসি) চিকিৎসক মো. নাসির উদ্দিনের বাসায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেখানে কেফায়েত ও তরুর বন্ধু মবিন ও রানাও উপস্থিত ছিল। পরে তরু বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছে প্রচার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই বন্ধুরাই। সেখানে লাশ ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
তরু ও কেফায়েত এবার নওমহল পীরবাড়ি মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে দাখিল পাস করে। তরুর ভর্তিপ্রক্রিয়া চলছিল। বাবার ইচ্ছে ছিল তাকে চিকিৎসক বানানোর।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তরুর বাবা সিরাজুল ইসলাম গত ২৩ জুন কেফায়েত, মবিন ও রানাকে আসামি করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন।