কই মাছের মড়ক প্রতিরোধে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মৎস্যবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, খামারি ও প্রান্তিক পর্যায়ে সীমিত জ্ঞান, বেশি ফলনের আশায় বেশি অ্যাকুয়া ড্রাগ ব্যবহার, পানিদূষণ, আগাম ডিম উৎপাদনসহ বিভিন্ন কারণে কই মাছে রোগ বিস্তার করে।
গতকাল শনিবার সকালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সেমিনার কক্ষে ‘কই মাছের মড়ক প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক কর্মশালায় ড. আনোয়ার এসব কথা বলেন।
বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন মৎস্য রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলেকুজ্জামান প্রমুখ।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক কইচাষি, হ্যাচারি মালিক, মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অ্যাকুয়া ড্রাগ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গবেষক, উদ্যেক্তারা অংশ নেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সিরাজুম মুনীর।
প্রবন্ধে সিরাজুম মুনীর দাবি করেন, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় একটি খামারে গত বছর ৫ মে মড়ক রোগ প্রথম শনাক্ত হয়। পুকুরে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ‘অ্যাকুয়া ড্রাগ’ অধিকাংশ সময়ে কাজ করে না। ড্রাগ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনেক সময় অধিক ফলনের লোভ দেখিয়ে চাষিদের বেশি মাত্রায় অ্যাকুয়া ড্রাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করে থাকেন। চাষিরা অনেক সময় বিজ্ঞানীদের পরামর্শ না শুনে ‘ড্রাগ’ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির কথা শুনে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মৎস্যবিজ্ঞানী এস বি সাহা, ড. মো খলিলুর রহমান, ড. মো নুরুল্লাহ, ড. এইচ এম কোহিনূর, ড. মো. শাহা আলী প্রমুখ।