নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নেত্রকোনায় আহত ৩০

নেত্রকোনার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বেজগাঁও গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার পরপরই দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বেজগাঁও গ্রামের হায়দার আলী ও মো. আমানউল্লাহ।
আহতদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন, ফজলু মিয়া, জামিল আহমেদ, সুমন মিয়া, আনোয়ারুল ইসলাম, আবদুস সালাম, আজিজ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, হালিম মিয়া, আবুল মিয়া, পলাশ মিয়া, রিটন মিয়া, মাজু মিয়া, রফিকুল ইসলাম, বিউটি আক্তার, মঞ্জু মিয়া, সাঈদ মিয়া, সায়েম, আলম, সুজাত মিয়াকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত শাহজাহান ও সোহেল মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে কেন্দুয়া হাসপাতাল থেকে তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কেন্দুয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিরঞ্জন দেব জানান, গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বলাইশিমুল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যপদে প্রার্থী হন বেজগাঁও গ্রামের পশ্চিমপাড়ার হায়দার আলী ও পূর্বপাড়ার মো. আমানউল্লাহ। নির্বাচনে হায়দার আলী জয়ী হন। নির্বাচন নিয়ে গ্রামের দুই পাড়ার লোকজনের মধ্যে শত্রুতা দেখা দেয়। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে বাড়ির সীমানা দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহার করতে নিষেধ করে। এরই জের ধরে তারা সকালে গ্রামেই দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন। তিনি আরো জানান, দুপুরে এ ঘটনায় হায়দার আলী ও মো. আমানউল্লাহকে আটক করা হলেও ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমঝোতায় কোনো পক্ষ মামলা না করায় দুজনকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়।