খাগড়াছড়িতে পিসিপির সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলছে। অবরোধ চলাকালে দুটি সংবাদপত্রবাহী গাড়িসহ ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
অবরোধ শুরুর আগে ভোর ৫টার দিকে গুইমারা বাইল্যাছড়ি ও আলুটিলা এলাকায় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত সাতজন আহত হয়।
ইউপিডিএফের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে প্রশাসনের বাধা দেওয়ার অভিযোগে এ সড়ক অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খাগড়াছড়িতে পত্রিকা সরবরাহ করে ফেরার পথে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সংবাদপত্রবাহী গাড়িটি গুইমারা বাইল্যাছড়ি পৌঁছালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা পাহাড়ের ওপর থেকে এলোপাতাড়ি ঢিল ছুড়লে বেলায়তে হোসেন নামের একজন আহত হন। একই সময় আলুটিলা এলাকায় একটি সংবাদপত্রবাহী গাড়ি ও চারটি নৈশকোচ ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। এ সময় আরো ছয় যাত্রী আহত হয়।
পরে সকাল সোয়া ৬ঠার দিকে শহরের দক্ষিণ খবংপুড়িয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
অবরোধের কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্টা সড়কে সব ধরনের যাবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন ও রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ জানান, পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা শাখা দপ্তর সম্পাদক রুপেশ চাকমা সাংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করেন, প্রশাসনের বাধার কারণে গত ২০ মে জেলার দীঘিনালা উপজেলার আমতলী বানছড়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত পিসিপির নির্ধারিত ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা সম্ভব হয়নি।
অবরোধ চলাকালে এইচএসসি পরীক্ষা, অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক-সংবাদপত্র বহনকারী গাড়ি, জরুরি ওষুধ সরবরাহ ও রোগী বহনকারী গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরও সংবাদপত্রের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা।