উপজেলা নেতাকে কোপ, জেলা নেতা কারাগারে

ঝালকাঠিতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক শীলমণি চাকমাসহ একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের কালীবাড়ি সড়কের বাসা থেকে শফিককে গ্রেপ্তার করে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে ঝালকাঠি সদর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাতের ওপরে হামলা করেন শফিকুল ইসলাম শফিক ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে রফিকুর রহমান রাহাত বাদী হয়ে তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে শফিকসহ নামধারী আটজনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন শফিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগের একাংশ শহরে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিল থেকে ধাওয়া করে চার ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করে। আটক হলো রিজভী আহম্মেদ আলভী, মহসিন রেজা, রায়হান তালুকদার ও জহিরুল ইসলাম সুমন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাত শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলযোগে মিনিপার্কে যাচ্ছিলেন। কামারপট্টির চৌমাথায় এলে আগে থেকে অপেক্ষমাণ শফিকুল ইসলাম শফিকের নেতৃত্বে ১০/১২ ছাত্রলীগকর্মী তাঁকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তারা কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাহাতকে আহত করে। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শফিকের সঙ্গে রাহাতের বিরোধ ছিল।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই শফিকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী মিছিলের চেষ্টা করলে তাদেরও আটক করা হয়।