ঝালকাঠিতে মাদ্রাসার ২০ শিশুর চুল কেটে দিলেন শিক্ষক

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি এলাকার নূরানি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা ও হিফজখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ২০ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দিয়েছেন এক শিক্ষক। চুল ছোট করে কেটে না আসায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটান শিক্ষক।
শিক্ষকের নাম মো. রবিউল ইসলাম। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, নূরানি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা ও হিফজখানায় বুধবার থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। কয়েক দিন ধরে মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ছেলে শিক্ষার্থীদের মাথার চুল ছোট করে কেটে আসতে বলেন। কিন্তু শিশু শিক্ষার্থীদের মাথার চুল ছোট হওয়ায় তারা চুল না কেটে মাদ্রাসায় আসে। শিক্ষক রবিউল ইসলাম গতকাল দুপুরে সব শিক্ষার্থীকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে টুপি খুলে চুল কেটেছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখেন। এ সময় মাথার চুল বড় থাকায় ২০ শিক্ষার্থীকে কেচি দিয়ে মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনা ওই শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের জানায়। অভিভাবকরা মাদ্রাসায় গিয়ে এ ঘটনার কারণ জানতে চান। অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখে শিক্ষক রবিউল ইসলাম সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ছেলে ছাত্রদের মাথার চুল বড় হয়ে যাওয়ায় তাদের অনেক দিন ধরে চুল কেটে আসতে বলা হয়েছিল। তারা চুল কেটে না আসায় কেচি দিয়ে প্রত্যেকের মাথায় একটি করে পোচ দিয়ে চুল কেটে দিয়েছি, যাতে বাড়িতে গিয়ে চুল কেটে আসে।’
এ ব্যাপারে নূরানি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা ও হিফজখানার প্রধান শিক্ষক (বড় হুজুর) জয়নাল আবেদিন বলেন, ঘটনা শুনে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসায় আসতে বলছি এবং গালমন্দ করেছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।