পাহাড়ে শুরু সাংগ্রাই উৎসব

আনন্দ-উল্লাস আর উৎসবমুখর পরিবেশে খাগড়াছড়িতে বর্ষবরণ ও বিদায় উৎসব বৈসাবি পালিত হচ্ছে। চাকমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা গতকাল মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে। মারমা সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ ও বিদায় উৎসব সাংগ্রাই আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে এই উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার স. ম মাহবুবুল আলম।
হাজার-হাজার মারমা নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে ঐতিয্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একইস্থানে এসে শেষ হয়।
এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমাসহ বিভিন্ন দপ্তরের ও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জলকেলি উৎসব বা পানিখেলা
শোভাযাত্রা শেষে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের অন্যকম আকর্ষণ জলকেলি বা পানি খেলার আয়োজন করা হয়।
পানিকে বিশুদ্ধতার প্রতীক ধরে নিয়ে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অন্যকে পানি ছিটিয়ে নিজেদের পবিত্র করে নেয়। তারা পুরনো বছরের দুঃখ-কষ্ট-গ্লানিকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
পানিখেলায় একপক্ষের হার না মানা পর্যন্ত পানি ছিটানোর এ প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। তবে এ প্রতিযোগিতা শুধু অবিবাহিত তরুণ-তরুণীদের জন্য।
পানিখেলা উৎসবের পাশাপাশি চলে সাংগ্রাই কনসার্টে স্থানীয় শিল্পীদের নাচ-গানসহ মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা। তরুণ-তরুণীরা বাঁধাভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে নেচে-গেয়ে পুরো এলাকা মাতিয়ে তোলে। এ উচ্ছ্বাসে অংশ নেয় দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও।
সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মারমা সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়নে তৈরা করা হবে পাজন। বিভিন্ন ধরনের সবজি মিশিয়ে এ পাজন রান্না করা হয়।